সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৃত ব্যক্তির নাম দিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম চুন্নু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরপরও তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
শাহ আলম চুন্নু বরিশাল সদর উপজেলা ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দোষর ও ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য।
ইউপি সদস্য থাকা কালীন সময়ে গত বছর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল চুরির অভিযোগ ইউপি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হয়। হাই কোর্টের রিটপিটিশনের মধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, তার পিতা ডিলার ইউসুফ আলী সিকদার চাল চুরির অভিযোগে ডিলার শিপ থেকে বহিস্কার হওয়ার পরে হাই কোর্টে রিট পিটিশনের মাধ্যমে ফের ডিলার শিপের দায়িত্বে আছেন। প্রকল্প আত্মসাতের প্রমাণিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আছে। দুদকের করা মামলা চলমান থাকা কালীন সময়ে ফের অর্থ বছরে তিনটি প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে কমিটি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসে। এমনকি গত বছর রাস্তার নাম দিয়ে প্রকল্প নিয়ে কাজ না করে, বিল উত্তোলণ করা রাস্তা ফের চলতি বছরে ওই রাস্তায় প্রকল্প দিয়েছে দুর্নীতিবাজ ইউপি সদস্য শাহ আলম চুন্নু।
মৃত ব্যাক্তির নামে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, সাহেবেরহাট শাখায় হিসাব নং-০৩৩১৯০১০১৫৪০৫ থেকে শ্রমিক মজুরি বাবদ প্রতারণার আশ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরনের মাধ্যমে চেক/ভাউচারে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের সতত্যা পেয়ে গত বছর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সমম্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মনিরুন নেছা।
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, মো. শাহ আলম (চুন্নু) দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত মামলায় শ্রমিক মজুরি বাবদ ১৪ হাজার ৫শত টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি মো. শাহ আলম (চুন্নুর) বিরুদ্ধে ইজিপিপি প্রকল্পের শ্রমিক আবু সুফিয়ানের মৃত্যুর পর তার নামীয় সোনালী ব্যাংক পিএলসি সাহেবের হাট শাখা থেকে প্রতারণার আশ্রায়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরনের মাধ্যমে চেক/ভাউচারে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাত দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় মামলা রুজু হয়।
দুদকের আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় বলেন, ‘দুদকের করা মামলা অজামিনযোগ্য। শাহ আলম চুন্নুর বিরুদ্ধে মৃত্যুর ব্যক্তির নামে ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দুদক যদি মনে করে তবে তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে। এক্ষেত্রে দুদক চাইলে পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে।’
মামলার পরও শাহ আলম চুন্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানতে দুদকের সমম্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহপরিচালক মনিরুন নেছার সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে উপপরিচালক এইচ.এম আখতারুজ্জান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি আদালতে আমাদের মামলার কপি দিয়ে আরও একটি মামলা করেন।

দুদকের মামলার বিষয়ে পরিচালক মোঃ মোজাহার আলী সরদার বলেন, আমি হজে¦ যাচ্ছি, আপনি বিষয়টি উপপরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেন।